উইন্ডোজ দরকার...?? জেনে নিই উইন্ডোজ অরিজিনাল নাকি জেনুইন

উইন্ডোজ দরকার...??



উইন্ডোজ দরকার?

আজ #Orginal or #Genuine #windows নিয়ে কিছু আলচনা করবো। 

#কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।  আর আমাকে বলে দিবেন।  দয়াকরে কেউ কাজে comments করবেন না। 

কেন অরিজিনাল উইন্ডোজ দরকার?
আমরা কম্পিউটারের প্রোটেকশন নিয়ে অনেক কিছুই ভাবি। কম্পিউটারে আমাদের সংরক্ষিত ডাটাগুলো যাতে সুরক্ষিত থাকে সেক্ষেত্রে আমরা এন্টিভাইরাস কিংবা সিস্টেম মেইনটেন্যান্স ধরনের সফটওয়্যার কিনে থাকি। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবেছি আমাদের ব্যবহার করা উইন্ডোজটি পাইরেটেড! গোড়ায় গলদ যাকে বলে। 

অনেকেই আবার মানতে চান না কেন জেনুইন উইন্ডোজ ব্যবহার করবো যেখানে এক ক্লিকেই তো উইন্ডোজের সব ফিচার আনলক করা যাচ্ছে। হ্যাঁ আমাদের চিন্তাধারা হিসেবে যুক্তিটা খারাপ নয় কিন্তু যখন প্রশ্ন আসে আপনার ডাটা এবং সিকিউরিটির তখন পাইরেটেড উইন্ডোজ হতে পারে একটি বড় ফাঁদ।

আজকের প্রসঙ্গ জেনুইন উইন্ডোজ নিয়ে। কেন জেনুইন উইন্ডোজ কিনবেন তার কিছু ধারণা দেয়া হলোঃ 
১। সফটওয়্যার সাপোর্টঃ কম্পিউটারে সফটওয়্যারগত কোন রকম ঝামেলা হলে সাধারনত গুগোল করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না। কিন্তু অরিজিনাল সফটওয়্যারে অনলাইন এবন ফোন কলের মাধ্যমে হেল্পলাইনের সুবিধা রয়েছে। যে কোন সময় উইন্ডোজ সম্পর্কিত কোন প্রকার সফটওয়্যার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন কথা বলেই। 

২। ভাইরাস প্রটেকশনঃ সাধারনত উইন্ডোজ একটিভেট করার সময় উইন্ডোজ ডিফেন্ডার বন্ধ করে রাখতে হয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার চালু করা সম্ভব হয় না। এতে উইন্ডোজের সাথে আসা যে এন্টিভাইরাসটি রয়েছে এটি আপনার কম্পিউটারের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। তাই যে কোন ছোট খাটো ম্যালওয়্যার থেকে আপনার ডাটা অরক্ষিত হতে পারে। এক্ষেত্রে জেনুইন উইন্ডোজ আপনাকে সব রকমের সাপোর্ট দিবে এবং সিকিউরিটি সম্পর্কিত সব ধরনের আপডেটস দিবে।

৩। ফাইল মিসিং এবং কম্পিউটার ফেইলইউরঃ সাধারনত পাইরেটেড উইন্ডোজে ফাইল মিসিং হতে পারে এবং এর জন্য আপনার কম্পিউটারে কাজ করতে সমস্যা হতে পারে। এসব কারনে পুরো কম্পিউটার ফেইলইউর হতেও পারে এবং নতুন করে উইন্ডোজ দেয়া লাগতে পারে। ঘন ঘন উইন্ডোজ দেয়াটা ঝামেলার এবং প্রতিবার সি ড্রাইভের একটি ব্যাকাপও নিতে হয়। এ ঝামেলা যারা চান না তাদের জন্য অরিজিনাল উইন্ডোজই কিনা ভালো। 

৪। কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়াঃ অরিজিনাল উইন্ডোজে প্রতিনিয়ত আপডেটস এবং নতুন নতুন ফিচার যোগ করা হয়ে থাকে এবং এর পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডওয়্যারের সাপেক্ষে আরো বেশি গতিশীল করা হয়ে থাকে। পাইরেটেড উইন্ডোজে অনেকেই আপডেটস বন্ধ করে রাখেন যাতে প্রতিনিয়ত আপডেটস না আসে। এছাড়া পাইরেটেড উইন্ডোজে আপডেট বন্ধ না রাখলে একটিভেশন চলেও যেতে পারে। কম্পিউটার ব্যাকডেটেড থাকালে সেটি ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা হ্যাকারদের জন্য একটি ব্যাকডোর তৈরী করে দেয় যাতে করে সহজেই এসব আপনার সিস্টেমের কন্ট্রোল নিতে পারে। উইন্ডোজের এই আপডেটসগুলো সাধারনত ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করার জন্যই করে থাকা। এর পাশাপাশি সিস্টেমকে আরো গতিশীল করা হয়। পাইরেটেড উইন্ডোজ হ্যাং হবার সম্ভাবনা বেশি থেকে থাকে কারন অনেকক্ষেত্রে একটিভেশন প্রসেস সবসময় কাজ করতে থাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে। 

৫। ডাটার নিরাপত্তাঃ যেটা আসলে আমাদের সকলের আসল চিন্তার বিষয়। অরিজিনাল উইন্ডোজ অফিশিয়াল কী ক্রয় করে একটিভেট করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার সমস্ত ডাটা নিরাপত্তা মাইক্রোসফটের। কিন্তু পাইরেটেডভাবে একটিভ করা উইন্ডোজের ক্ষেত্রে আপনার ডাটার প্রটেকশন দেয়া সম্ভব নয়। কারন পাইরেটেড সফটওয়ারগুলো হ্যাক করে বানানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার গুরুত্বপূর্ন ডাটা নিরাপদে রাখা সম্ভব নয়। পাইরেটেড উইন্ডোজে হ্যাকাররা সহজেই এক্সেস করতে পারে। 
 

ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.